জিকির উল্লাহ জিকু:

বেশ কিছুদিন ধরে জেলার নিবন্ধন অফিসের (সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস) নকলনবশিদের মাঝে হতাশ, ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ নকলনবিশদের নিয়ম নীতি বা ম্যানুয়েল থাকলেও মান হচ্ছে না শুণ্য পদে পদায়নে। এই ক্ষোভ সৃষ্টি কারণে জানা যায়, গত ২৭ জুলাই পেকুয়া টি.সি মোহরা পদে সুমন কান্তি দে কে অতালিকাভুক্ত এবং জুনিয়র নকলনবিশ হলেও জেলা রেজিষ্টার অফিস টি.সি মোহরা পদে নিয়োগ দেয়ায়।

জেলার এক নকলনবিশ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন-আমরা নাম মাত্র বেতনে চাকরি করে আসছি কখন একটা শুণ্য পদে পদায়ন হব। যদি নীতিমালা ও জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে করা না হয় তাহলে বিশৃঙখলা যেমন হবে তেমনি কাজেও গতি আসবে না।

নকলনবিশ সমিতির এক সূত্রে জানা যায়, জেলায় তালিকাভুক্ত নকলনবিশ আছেন ১০৬জন। প্রতি উপজেলায় ৫টি করে শূণ্য পদে মোট ৪০টি পদ এর মধ্যে প্রতি উপজেলায় সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে একজন টিসি মোহরা বাকি পদ গুলো আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

অভিযোগে জানা যায়, অনৈতিক কৌশলে জ্যৈষ্ঠতা লঙ্গন করে পেকুয়া টিসি মোহরা পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন সুমন কান্তি দে এবং জেলা অফিস তাকে সাহায্য করেছে। এই শুণ্য পদের নিয়োগে কোন সার্কুলেশন বা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি বেশ কয়েকটি উপজেলার নকলনবিশদের অভিযোগ। যুগযুগ ধরে আসা নিয়ম বা স্পষ্ট নীতি মালায় উল্লেখ থাকলেও মানা হয়নি।

এই বিষয়ে কথা হয় জেলা নকলনবিশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিনার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সাথে তিনি বলেন, পেকুয়া টিসি মোহরা পদের নিয়োগের বিষয়টি নিয়োগের আগ পর্যন্ত আমাদের জানা ছিলনা পরে জানছি। নকলনবিশদের পদায়নে কোন নিয়ম-নীতিমালা আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-নীতি মালা আছে এবং যুগ যুগ ধরে এটি বাস্তবায়ন হয়েও আসছে।

তিনি আরো বলেন পদায়নে জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে করতে হবে এমন স্পষ্ট বিধানও আছে এবং নকলনবিশ ছাড়া বাহিরের কোন লোক নিয়োগের বিধান নাই বলেও জানান।নকলনবিশ সমিতির অফিস সূত্রে জানা যায়, তালিকা ভুক্ত ১০৬জন নকলনবিশদের মাঝে সুমন কান্তিদে কত নম্বর সদস্য কেউ তথ্য দিতে পারেনি তবে সমিতির সম্পাদক সূত্রে জানা যায় তিনি নিশ্চিত জুনিয়ন নকলনবিশ।

নকলনবিশ সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়নালের কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনিও বলেন, নকলনবিশদের তালিকা থেকেই জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় বলে মত ব্যক্ত করেন।এক তথ্যে জানা যায়, গত ১১/০৬/২০১৭ ইং তারিখের উপ-সচিব বিলকিস জাহান রিমি স্বাক্ষরিত পত্রে ‘নিবন্ধন পরিদপ্তরকে‘ অধিদপ্তরে রুপান্তরের পর নিয়োগ সংক্রান্ত শর্তরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। তাতে উল্লেখ আছে অফিস সহায়ক (এম.এল.এস.এস), নৈশ প্রহরী, ঝাড়–দার আউটসোর্সিং পদ উল্লেখ করে শুণ্য যেকোন পদে নিয়োগের বিষয়ে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন গ্রহণ এবং পদ সৃজনে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রেও যথাযথ নিয়ম প্রয়োগ হয়নি বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন অভিযুক্তরা।

এই নিয়োগের বিষয়ে ও তালিকার জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগের বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে জেলা রেজিষ্টার রায়হান মন্ডল বলেন, উক্ত পদে যে কাউকে নিয়োগ দেয়া যায়, জ্যৈষ্ঠতার কোন নীতিমালা নাই। তালিকাভুক্ত হতে হয়না এবং যথানিয়মে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।